মাষাণকুড়া নদীর তীরে অষ্টমীর স্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল
রংপুরের পীরগাছায় মাষাণকুড়া নদীর তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান ও বারুণী মেলা উপলক্ষে হাজারো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিনব্যাপী নদীর তীরবর্তী উপজেলার কান্দিরহাটে ঐতিহ্যবাহী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী চারুকারু পণ্য, মাটির খেলনা, প্লাস্টিকের সামগ্রী, বড় আকারের মাছ, ফলমূল এবং বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রয়ের দোকান বসেছে।
সকাল থেকে পুণ্যার্থীদের স্নান শুরু হয়েছে। মাষাণকুড়া নদীর তীরে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজার আয়োজন করা হয়। ভোর থেকেই বিপুল সংখ্যক হিন্দু পুণ্যার্থী মাষাণকুড়া নদীতে স্নান সেরে পূজা অর্চনা করে। চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথির দিনেই এই অষ্টমী মেলা ও গঙ্গা দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাষাণকুড়া নদীর পাড়ে কান্দিরহাটে শিশুদের জন্য মাটি দিয়ে তৈরি নানা ধরনের খেলনার পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। মাটির ব্যাংক, হাঁড়ি-পাতিল, পুতুল, পালকিসহ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে মেলায়। অষ্টমী স্নান ও বারুণী মেলায় বেড়াতে আসা শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ মূলত এসব খেলনার দোকান ঘিরে ভিড় করছেন।
পুণ্যার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার থেকেই রংপুরের পীরগাছা ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা কান্দি মাষাণকুড়া নদীর পাড়ে আসতে শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দা বকুল চন্দ্র বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলা উপলক্ষে অনেক স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অনেকে দূরদুরান্ত থেকে মেলায় আসছে।
অষ্টমী স্নান ও বারুণী মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র মংলু বলেন, দিনব্যাপী অষ্টমী স্নান ও বারুণী মেলা চলছে। শুরু থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস