মারধরে আহত সেই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আইসিইউতে, গ্রেপ্তার ২
অপহরণের পর মারধরের শিকার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে থাকা তার বড় ভাই এমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দেলোয়ার হোসেনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ সকাল পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
এদিকে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে দেলোয়ারের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসের ভেতর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় এমদাদুল হক ঢাকা পোস্টকে জানান, নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে তার ভাই দেলোয়ারকে তুলে নিয়ে যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর মোহন ও তার লোকজন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দেলোয়ারকে ব্যাপক মারধর করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। অবস্থা খারাপ দেখে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. মো. আ. হ. ম. মোস্তফা কামাল বলেন, আহত দেলোয়ার হোসেন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতরাতে ভুক্তভোগীর ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ অ্যানালাইসিস করে রাতেই অভিযান চালিয়ে বাবু ও সুমন নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটির সন্ধান পাওয়া গেল কি না জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, এখনো মাইক্রোবাসটিকে আমরা জব্দ করতে পারিনি। তবে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, গাড়িটি লুৎফুল হাবীব রুবেলের (একমাত্র প্রতিপক্ষ প্রার্থী)। গাড়িটি উদ্ধার করতে পারলে আমরা সত্যতা যাচাই করতে পারব।
গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ