ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, অতিষ্ঠ স্থানীয়রা
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় বানিয়েছে গৌরনদী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঝখানে ট্রাকবোঝাই করে প্রতিদিন ময়লা ফেলা হচ্ছে। শুধু ময়লা ফেলেই হচ্ছে না, সেই ময়লা আগুন দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। এতে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে মহাসড়কসহ আশপাশের এলাকা। দুর্গন্ধ, মশা-মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী পৌর কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করতে সড়কের দুই পাশে বর্ধিতকরণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সড়কের পাশ ভরাট করতেই বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে ময়লা ফেলছে গৌরনদী পৌর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আবির হাসান বলেন, বিগত ছয় মাস ধরে মহাসড়কের পাশে পৌরসভা এলাকার যত ময়লা-আবর্জনা রয়েছে তা এনে ফেলে আগুন দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাসা-বাড়িতে থাকতে পারছি না। ধোঁয়া-দুর্গন্ধে থাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে আমাদের এলাকার।
তিনি বলেন, কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা সব সময়েই ময়লা ফেলছে আর আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
রাধে শ্যাম নামে এক মিস্ত্রি বলেন, উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলা আর ধোঁয়ায় বায়ু দূষণ হয়। সেই বায়ুতে যারা নিঃশ্বাস নিচ্ছি তারা সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
শেখ টিপু নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলে তা পোড়ানোয় আশপাশে আমরা যারা বসবাস করি তারা খুব বিপদে আছি। আমরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছি, শরীরে ব্যথা অনুভব করি সব সময়।
আক্তার হোসেন নামে আরেকজন বলেন, পৌরসভা মহাসড়কের পাশে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলবে কেন? তাদেরতো উচিত নিরাপদ স্থানে ফেলে পোড়ানো। অথচ তারা যে কাজ করছে তাতে আমরা রোগাক্রান্ত হচ্ছি।
ভ্যানচালক রতন গাজী বলেন, শুধু ময়লা নয়, বিড়াল মরা, কুকুর মরা এনে ময়লার মধ্যে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় একটি ক্লিনিকের পরিচালক সাইদুল বাসার বলেন, পরজীবী বহনকারী মশা-মাছির উপদ্রব এত বেশি বেড়েছে যে কিছুক্ষণ টিকে থাকা কষ্টকর। ময়লা এভাবে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় রোগ-জীবানু ছড়িয়ে পড়ছে। আমি মনে করি পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ময়লার ভাড়ারটি অনত্র সরিয়ে ফেলবে।
গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমানকে পৌর ভবনে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ব্যস্ত আছেন জানিয়ে কল কেটে দেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর