সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে ব্রিজের গার্ডার ধসে চাপা পড়েছেন শ্রমিক
সিরাজগঞ্জের ইকোনমিক জোনে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের তিনটি গার্ডার ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন শ্রমিক এখনো নিচে চাপা পড়ে আছে। সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্মাণাধীন ব্রিজটির ৩টি গার্ডার ধসের ঘটনা ঘটে।
গার্ডার ধসের সময় ওই গার্ডারে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও বাকি আরেকজন তেমন আহত হননি। তবে একজন শ্রমিক এখনো গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
মো. হাফিজুল ইসলাম (২৪), জহুরুল ইসলাম (৬০) ও জুবায়ের (২২) নামে তিন শ্রমিক ওই ব্রিজে কাজ করছিলেন। সিরাজগঞ্জ সদরের মিরপুর মহল্লার মাহমুদ আলীর ছেলে জুবায়ের গার্ডারের নিচে চাপা পড়েছেন।
সেই গার্ডারেই কাজ করা অবস্থায় অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া শ্রমিক হাফিজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দুই গার্ডারের মাঝখানে ক্রস গার্ডারের কাজ করছিলাম। হঠাৎ গার্ডারগুলো ভেঙে পড়ে। এ সময় আমি দৌড়ে সরে গেলেও বাকি দুজন সরতে পারেনি। পরে পাশে কাজ করা আরও কয়েকজন এগিয়ে এসে জহুরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তবে জুবায়ের এমনভাবে চাপা পড়েছে যে তাকে আমরা খুঁজে পাইনি। আমরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসিবুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পাওয়ার পরেই সেখানে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। এরপর আমি নিজেই ঘটনাস্থলে এসেছি। আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। ধসে যাওয়া গার্ডারের নিচে একজন চাপা পড়ে আছেন। ফায়ারসার্ভিস তাকে উদ্ধারে কাজ করছেন। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করছি।
ঘটনাস্থল থেকে সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পাওয়ার পরেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। আমরা জানতে পেরেছি এখানে তিনজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর মধ্যে একজনকে আগেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি জন ঠিক আছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও একজন শ্রমিক ধসে যাওয়া গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তার শুধু হাত দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মারা গেছেন। তাকে উদ্ধারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বালু সরিয়ে তাকে উদ্ধারে কাজ চলছে।
তবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান পিডিএল এর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী।
শুভ কুমার ঘোষ/আরকে