বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার চালক নিহত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে চালক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চরবাউশিয়া বড়কান্দি গ্রাম সংলগ্ন গোমতী নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে যায় শাহেদ (১৪)। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে শাহেদ আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শাহেদ বড়কান্দি গ্রামের মোশাররফ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহেদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে, মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোক্তার দেওয়ান (৫০) নামে ট্রলার চালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ট্রলারে থাকা জাহিদ হাওলাদার (৩৫) নামের এক যাত্রী।
নিহত মোক্তার দেওয়ান গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সোনাইরকান্দি গ্রামের মৃত কেরামত আলী দেওয়ানের ছেলে। আর আহত জাহিদ হাওলাদার একই ইউনিয়নের গোসাইরচর গ্রামের মিলন হাওলাদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মেঘনা নদীতে সোনারগাঁও মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের পদ্মা ডিপু থেকে তেল কিনে ট্রলারযোগে গজারিয়ায় ফিরছিলেন তারা। পথিমধ্যে তেলবাহী ট্রলারটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে। এ সময় বরিশাল থেকে সদরঘাটগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি উল্টে যায়। পরে নদীতে থাকা জেলেরা ট্রলারের চালক মোক্তার দেওয়ানের মরদেহ ও গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদ হাওলাদারকে উদ্ধার করে। জাহিদ হাওলাদার বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাজিব খাঁন বলেন, বজ্রপাতে নিহত কিশোরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে নিহত ট্রলার চালকের মরদেহ নৌ পুলিশের কাছে রয়েছে।
ব.ম শামীম/এমজেইউ