৯ ঘণ্টায়ও নেভানো যায়নি গজারিয়ার আগুন, জ্বলছেই কারখানা
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড কারখানার আগুন ৯ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। রোববার (২৪) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদি এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে বলে কারখানা সূত্রে জানা গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন লাগার প্রায় ৫ ঘণ্টা পর বৃষ্টি নামলে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রাত সোয়া ১০টার দিকেও কারখানায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে- কাঠের গুঁড়া ও পাটখড়ি দিয়ে তৈরি সুপার বোর্ডের বড় বড় স্তূপ থাকায় আগুন দীর্ঘস্থায়ী হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও ২০১৩ সালে এই কারখানায় আগুন লেগেছিল। তখন আগুন পুরোপুরি নেভাতে পাঁচ দিন সময় লাগে।
এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে একজন আনসার সদস্যসহ ৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত অপর ছয়জন ওই কারখানার শ্রমিক। তাদেরকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা জোনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন জানান, আগুন এখন অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। আগুন এখন আর ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে একটি আধুনিক ফায়ার ফাইটিং রোবটসহ ১২টি ইউনিট কাজ করছে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার জানান, আগুনে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর সোয়া ১টার দিকে কারখানার পাটের গোডাউনে আগুন দেখতে পান কর্মরত শ্রমিকরা। প্রথমে তারা নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে অগ্নিনির্বাপণে কাজ শুরু করে। তবে কারখানার ভেতরে পানির অভাবে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে।
রাত ১০টার দিকে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে আগুন যাতে আর না বাড়তে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।
ব.ম শামীম/আরএআর