ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় অগ্নিনির্বাপণে সমস্যা হচ্ছে
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সুপার বোর্ড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের চার ঘণ্টা পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় অগ্নি নির্বাপণে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক। রোববার (২৪) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদি এলাকায় টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড কারখানায় আগুন লাগে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। প্রথমে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপনে কাজ শুরু করি। পরে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে আরও আটটি ইউনিট অগ্নিনির্বাপণে যোগ দেয়। ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় অগ্নিনির্বাপণে সমস্যা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে কারখানাটির ৫ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল কাশেম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হিরন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আনা হয়েছিল। তার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে । তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। তিনি আগুনে পুড়ে যাওয়া সুপার বোর্ড কারখানার কর্মী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুপুরে কারখানাটির পাটের গোডাউনে আগুন দেখতে পান কর্মরত শ্রমিকরা। প্রথমে কারখানার কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে অগ্নিনির্বাপণে কাজ শুরু করেন। তবে কারখানাটির ভেতরে সরু রাস্তা ও পানির অভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। এখন আগুন কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
গজারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান বলেন, এখনো আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন এখনো জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
ব.ম শামীম/আরএআর