সুন্দরবনে অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিয়ে হামলায় ৩ বন কর্মকর্তা আহত
বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবনের অভায়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদ হাওলদারের নেতৃত্বে বনকর্মতাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান ও স্পিডবোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম গুরুত্ব আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ মার্চ) শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফাসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জসিমকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, সুন্দরবনের আলীবান্দা এলাকা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে খুড়িয়াখালী (শরণখোলা) বাজার নামকস্থানে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতেৃত্বে ১০-১২ জন আমাদের পথরোধ করে।
অভ্যায়শ্রমে মাছ ধরার অনুমতি দাবি করে এবং এসিএফ অন্যদের অভায়শ্রমে মাছ ধরার সুযোগ দেয় বলে অভিযোগ করেন। এসময় অভায়াশ্রমে মাছ ধরার অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে তারা বনরক্ষীদের ওপর হামলা চালায়। এতে (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসানসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান এই বনকর্মকর্তা।
এদিকে বন বিভাগের অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার বলেন, এসিএফ মূলত টাকার বিনিময়ে অভায়শ্রমে মাছ ধরার অনুমতি প্রদান করে আসছে। এতে সাধারণ জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে জানালে এসিএফ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের একজনকে ধাক্কা মারে। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আমাদেরও একজন আহত হয়েছে।
শরণখোলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় জসিম নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শেখ আবু তালেব/আরকে