বরিশালে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধে কঠোর নির্দেশনা
বরিশালের বাজারগুলোতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি না করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রির তদারকি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ক্রেতা ঠকানোর দায়ে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নথুল্লাবাদ বাজার, চৌমাথা বাজার, কাশিপুর বাজার ও বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কৃষিপণ্য বিপণন আইন অনুসারে এই জরিমানা করা হয় বলে জানান বরিশাল কৃষি বিপণন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক রাসেল খান।
তিনি বলেন, রমজানের শুরুর দিন থেকে প্রতিদিন আমরা বাজার মনিটরিং করছি। সম্প্রতি সরকার কিছু পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেগুলো ব্যবসায়ীদের অবহিত করা হচ্ছে, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এরপরও ব্যবসায়ীরা নির্দেশনা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংছিং মারমা বলেন, প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করায় বরিশালের বাজারে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্রেতা যেন প্রতারণার শিকার না হন এজন্য প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে বাজার মনিটরিং করছে।
তিনি বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে এখন পর্যন্ত বরিশালের বাজারে পণ্য বিক্রি হতে দেখেছি। তাছাড়া পিস অনুসারে কিনে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি যেন না করা হয় সেজন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করে কেউ ক্রেতা ঠকালে, পিস হিসেবে কিনে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলে, পণ্যের বাজারমূল্য প্রদর্শন না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভ্রাম্যমান আদালত বাজারগুলোর বিভিন্ন মাংসের দোকানে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মাংস বিক্রি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ দেন। অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব-৮ এর তিনটি টিম উপস্থিত ছিল।
চৌমাথা বাজারের ক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ বাজারে সঠিক দামে বিক্রি হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলেই আবার দোকানিরা নিজেদের ইচ্ছামতো পণ্য বিক্রি করেন। আমরাতো জিম্মি দোকানিদের কাছে।
আরেক ক্রেতা রিজিয়া পারভীন বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসার আগে আমি ৮০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনেছি। কেজি দরে বিক্রির আপত্তি জানালে আমার কাছে তরমুজ বেচবে না বলে জানিয়ে দেয়। যখন ম্যাজিস্ট্রেট আসে তখন দাড়িপাল্লা লুকিয়ে রেখে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করে। ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে আবার আগের অবস্থা।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর