ছেলের শাবলের আঘাতে মায়ের মৃত্যু

নরসিংদীর মনোহরদীতে বৃদ্ধা মায়ের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। পরে বোনের করা মামলায় আসামি আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার (১৬ মার্চ) উপজেলার উত্তর আলগি এলাকায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ইয়াসমিন বাদী হয়ে রাতেই তার ভাই আরিফ মিয়াকে আসামি করে মনোহরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন
নিহত হাশেনারা বেগম (৫০) মনোহরদী উপজেলার উত্তর আলগী এলাকার মো. নূরু মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, আরিফ মিয়া প্রায়ই মাদক সেবন করতেন। মাঝে মাঝে মাদক খাওয়ার টাকা না পেলে বাড়িতে অশান্তি ও বাবা মাকে মারধর করতেন। আজ তিনি তার মাকে শাবল দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ মা-বাবার উপার্জনের উপর নির্ভরশীল ছেলে আরিফ মিয়া। দুপুরের খাবার কম দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৃদ্ধ মা হাশেনারা বেগমকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হাশেনারা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে হাশেনারা বেগম মারা যান।
পরবর্তীতে মরদেহ বাড়িতে এনে মনোহরদী থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের মেয়ে ইয়াসমিন বলেন, আমার ভাই কোনো কাজ করেন না। আমার বৃদ্ধ মা-বাবার আয়ের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তাকে কাজ করার কথা বললেই আমার বাবা-মাকে মারধর করতো এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। শেষ পর্যন্ত আমার মাকে সে মেরেই ফেলল। আমি এর বিচার চাই।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর পর মনোহরদী থানা পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে। আগামীকাল তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমএসএ/এমএসএ