সাফজয়ী গোলরক্ষক ইয়ারজানের বাড়িতে উপহার নিয়ে র্যাব
জীর্ণ কুটির থেকে উঠে আসা ফুটবল কন্যা ইয়ারজান। যার হাত ধরে এসেছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। নেপালের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের ৯০ মিনিটেও যখন ১-১ গোলে ড্রতে ম্যাচ। সেই ম্যাচের পেনাল্টিতে ভারতের তিনটি শট ঠেকিয়ে দেশের শিরোপা নিশ্চিত করে টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপারের ট্রফিটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ইয়ারজানের এমন সাফল্যে পঞ্চগড় জুড়ে এখন আনন্দের উচ্ছ্বাস।
গোলরক্ষক ইয়ারজানের এই সাফল্যে ভাঙা কুটিরে উপহার নিয়ে ছুটে গেলেন র্যাব-১৩ এর সদস্যরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে ইয়ারজানের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় সদরের হাড়িভাসা ইউনিয়নের খোপড়াবান্দি গ্রামে যান র্যাব-১৩ এর সিও কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। সেখানে গিয়ে তারা ইয়ারজানের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে তুলে দেন আর্থিক অনুদান হিসেবে নগদ অর্থ ও ইফতার সামগ্রী। উপহার সামগ্রী নিয়ে র্যাবের এমন আগমনে আনন্দিত ইয়ারজানের বাবা ও মা। মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান তারা।
সিও কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দুই দিন আগে নেপালের মাঠে সুন্দর একটি খেলা উপহার দিয়েছেন ইয়ারজান বেগম। তার এই সাফল্য যেমন আনন্দিত করেছে। তেমনি তার পরিবারের কঠিন দারিদ্রতা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা দেখে র্যাব-১৩ এর অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে ছুটে এসেছি। আমরা এখানে এসে সাফজয়ী গোলরক্ষক ইয়ারজানের মা-বাবা ও তার আত্বীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি তারা আসলেই খুবই গরিব। দারিদ্রতার ভেতর লড়াই করে ইয়ারজানের সাফল্য আমাদেরকে ভাবিয়েছে। তাই আমরা র্যাব ও র্যাব-১৩ এর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে কিছু নগদ অর্থ ও রমজানের ইফতার সামগ্রী এনেছি।
তিনি আরও বলেন, র্যাব একটি মানবিক ফোর্স। তাই আমরা ইয়ারজানের পরিবারের থাকবো ও যতটুকু সমস্যা রয়েছে সমাধানে কাজ করে যাব। এর পাশাপাশি এই সম্ভাবনাময় যে মুখগুলো আছে তাদের পাশে অন্যরাও এগিয়ে এলে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১৩'র মেজর ওমর ফারুক, লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মেহেদী হাসান, র্যাব-১৩'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দরকার গোলাম মুর্তুজা, স্কেয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ।
এসকে দোয়েল/আরকে