হবিগঞ্জে ভায়রার হাতে ভায়রা খুন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বড় বোনের স্বামীর লাঠির আঘাতে ছোট বোনের স্বামী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত বাবলু মিয়া (২৫) বাগাউড়া গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মিয়ার মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুরে সিলেটে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে জানাজার নামাজ শেষে বাবলু মিয়াকে দাফন করা হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ জানায়, উপজেলায় বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের আব্দুল হামিদের বড় মেয়ে সাবিনা বেগমের বিয়ে হয় একই গ্রামের আকবর মিয়ার সঙ্গে ও ছোট মেয়ে নাঈমা বেগমের বিয়ে হয় বাগাউড়া গ্রামের বাবলু মিয়ার সঙ্গে। আকবর মিয়া সিলেটের জাফলংয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। গত ৫ মার্চ নিজ বাড়িতে বাগাউড়া গ্রামে আসেন বাবলু। এ তিনি স্ত্রী নাঈমাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। বাবলু পার্শ্ববর্তী হরিনগর গ্রামের ভায়রা আকবর মিয়ার বাড়িতে স্ত্রীকে খুঁজতে যান। আকবর মিয়ার বাড়িতে নাঈমাকে পেয়ে তার সেখানে যাওয়ার কারণ জানতে চায় বাবলু মিয়া। এ নিয়ে বাবলু মিয়া ও নাঈমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ভায়রা আকবর মিয়াও বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আকবর মিয়া লাঠি দিয়ে বাবলুর মাথায় আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
গতকাল শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মিয়ার মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুরে সিলেটে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে জানাজার নামাজ শেষে বাবলু মিয়াকে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে বড় ভাকৈর পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া ছুবা জানান, আকবর মিয়া ও বাবলুর মধ্যে ঝাগড়া হয়। এ সময় আকবর লাঠি দিয়ে বাবলুর মাথায় আঘাত করলে বাবলু গুরুতর আহত হয়। বাবলুকে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মারা যায়।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, গত ৫ মার্চ দুই ভায়রা ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে বাবলু মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে শুক্রবার ভোরে সিলেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরকে