গ্যাসের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ২৬
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গ্যাসের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গজারিয়া থানার ওসিসহ পুলিশের ৮ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলে ১৮ জন আহত হন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের দড়ি বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান, গজারিয়া থানার ওসি রাজিব খান, এসআই আনোয়ার হোসেন, এসআই কামরুল, এএসআই মাসুম মিয়া, কনস্টেবল রাধা রমন, কনস্টেবল কাঞ্চন ও কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী শয়ন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আহত ১৮ জনের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন রোকেয় বেগম (৩৫), মালেকা বানু (৭০), বানু (৫৫), পারভিন (৪৭), ইসরাক হোসেন (২২), আকাশ (২৪) ও রিয়াদ হোসেন (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। গ্যাস সরবরাহ চালুর দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে কয়েক হাজার নারী পুরুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করা হলেও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় দুপুর তিনটার দিকে পুনরায় মহাসড়কের টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আহত হন আট পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ১৮ জন আহত হন।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, সকাল থেকেই আমরা তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বেশ কয়েকবার মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরও তারা বারবার মহাসড়কে উঠে আসছিল। দুপুর তিনটার পর তারা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। পুলিশ তাদেরকে মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি ও গজারিয়া থানার ওসি রাজিব খানসহ আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কয়েকটি টিয়ারশেল এবং শতাধিক রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ি।
ব.ম শামীম/এএএ