বেদখল হওয়া রেলের জমি পুনরুদ্ধার করা হবে : রেলমন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজবাড়ী রেলের শহর। এখানে রেলের অনেক জায়গা জমি রয়েছে। কিন্তু সব জমি বেদখল হয়ে আছে। এ কারণে রাজবাড়ী রেলের শহর হিসেবে ঐতিহ্য হারিয়েছে। রাজবাড়ীতে রেলের বেদখল হওয়া জমি শিগগিরই পুনরুদ্ধার করা হবে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের আজাদি ময়দানে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন তিন দিনব্যাপী বইমেলা ও লোক সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পর আজ প্রথম টিকিট কেটে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে ট্রেনযোগে এসেছি। রাজবাড়ীতে ট্রেনে আসা অনেক আরামদায়ক। খুব কম সময়ে ট্রেনে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে আসা যায়। অনেক দিন পর আমি ট্রেনে রাজবাড়ী স্টেশনে নেমেছি। স্টেশনে নেমে স্টেশনের যে দুর্দশা দেখলাম তাতে সত্যি আমার খুব খারাপ লেগেছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা রাজবাড়ীর এই ভগ্নদশা কাটিয়ে উঠতে পারবো। রাজবাড়ী রেলস্টেশনকে আধুনিক রেলস্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, আপনারা জানেন রাজবাড়ীতে রেলের বৃহত্তর রেল কারখানা হচ্ছে। যা ১০৫ একর জমির উপরে। সৈয়দপুরের থেকেও বড়। এখানে বগি মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বগি নির্মাণের জন্য বড় কারখানা হচ্ছে। এই কারখানা হলে রাজবাড়ীর চিত্র পাল্টে যাবে। রেলের শহর হিসেবে রাজবাড়ী তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন রেল ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার আবার নতুন করে গড়ে তুলছে। রাজবাড়ীতে রেল বলতে কিছুই ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা নেওয়ার পর এগুলো আবার পুনর্জীবিত করেছেন। আমাদের একটু সময় দিতে হবে আমরা আপনাদের সহযোগিতায় রাজবাড়ীকে আবার রেলের শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। এছাড়াও আজাদী ময়দানে রাজবাড়ীতে রেলের একটি আধুনিক একটি অডিটোরিয়াম করার চেষ্টা করবো।
জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সূবর্ণা রাণী সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দর্শনার্থীরা।
আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রীকে বই উপহার দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন লেখকরা তাদের লেখা বই রেলমন্ত্রীকে উপহার দেন। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন রেলমন্ত্রী।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/পিএইচ