কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকের ভিড়
কুয়াকাটার লেম্বুরবনে দাঁড়ালে ভালোভাবে সৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। রক্তিম গোলাকার সূর্যটি যখন আস্তে আস্তে সমুদ্রের বুকে নিস্তেজ হতে থাকে, তখন সেই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটার সকল দর্শনীয় স্থান, হোটেল, রিসোর্টসহ বিনোদনকেন্দ্র ও পার্ক। মূলত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস থেকেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ছিল কুয়াকাটা। আজকের সাপ্তাহিক ছুটিতে সেই চাপটা আরও বেড়ে গিয়ে পর্যটককে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক ইঞ্জিনিয়ার জহুরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কুয়াকাটায় এর আগেও ২০২০ সালে একবার এসেছি। কুয়াকাটার লেম্বুরবন খুবই সুন্দর একটি জায়গা। এখান থেকে মূলত সূর্যাস্ত খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। কিন্তু আজকের আবহাওয়া খারাপ থাকায় সূর্যাস্ত দেখা যায়নি।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অনেক দিন টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল। কিছু কিছু সময় এমনও গেছে যে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছিল কুয়াকাটা। তবে বর্তমানে যে হারে পর্যটক কুয়াকাটায় আসছে তাতে পেছনের ক্ষতি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব বলে মনে করি। বর্তমানে কুয়াকাটার সকল দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটন মৌসুম চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কুয়াকাটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত হওয়ায় সব সময় কমবেশি পর্যটকের উপস্থিতি থাকে কুয়াকাটায়। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমাদের তিন স্তরের টিম কাজ করছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সব সময় কাজ করছে।
এসএম আলমাস/আরএআর