কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগরের মৃত জিয়াউল হকের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪০)।
বুধবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
থানা সূত্রে জানা যায়, কাদের মির্জার অনুসারী সিরাজপুর ইউনিয়নের মৃত জিয়াউল হকের ছেলে ইকবাল হোসেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে (৪২) প্রধান আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও ফখরুল ইসলাম রাহাত (৩৫), শাহ ফরহাদ লিংকনসহ ১৩৭ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। একই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এর জেরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক কাদের মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তারা চলে যান। এরপর বিকেল সোয়া ৪টায় মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।
হাসিব আল আমিন/আরএআর