ধর্ষণ মামলায় পাঁচ মাস পর আদালতে মামুনুল হক
ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রায় পাঁচ মাস পর নারায়ণগঞ্জ আদালতে নেওয়া হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় তাকে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ রিপোর্টের মূল চিকিৎসককে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়েছে। দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।
সাক্ষীর জন্য সমনপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ও ডিএনএ রিপোর্টের মূল ডাক্তার আসাদুজ্জামান।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সেদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এস এম শফিকুল ইসলাম আংশিক এবং ডিএনএ ডাক্তার রবিউল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আজ তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এস এম শফিকুল ইসলামের বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আর একজনের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আজ মামুনুল হকের বিপরীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ রিপোর্টের মূল ডাক্তারের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সমন দেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
এএএ