সাতক্ষীরায় ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ

সাতক্ষীরার তালার ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন হরিণখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আহতরা হলেন, হরিণখোলা গ্রামের অভিরাম মন্ডলের ছেলে অলঙ্গ মন্ডল (৬১), তার ভাই জগদীশ মন্ডল (৪৫), আহত অন্যরা হলেন, ঘেরের পাহারাদার বীরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে বিশ্বনাথ মন্ডল (৫৩) ও ঘের কর্মচারী আসনগর গ্রামের নারদ মুন্ডার ছেলে শ্রীপদ মুন্ডা (৩০)।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অলঙ্গ মন্ডল জানান, হরিণখোলা বিলে ১০০ বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি চিংড়ি ঘের পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে চার বিঘা সরকারি খাস জমির লিজের টাকা হরিণখোলা গ্রামের কার্তিক মন্ডলকে না দিয়ে জমির মালিক দাবিদার স্বপন মন্ডলকে দেওয়ায় ২০২২ সাল থেকে তাদের সঙ্গে কার্তিক মন্ডলের বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়া পাঁচ শতক জমি নিয়ে কাকাতো ভাই শিব শেখরের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে শালিসি বৈঠক হয়েছে কয়েকবার। আদালতে মামলাও রয়েছে। এরই জের ধরে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার ঘের কর্মচারী বিশ্বনাথ মন্ডল ও পার্শ্ববর্তী দীলিপ মন্ডলের ঘের কর্মচারী শ্রীপদ মুন্ডাকে মুখোশধারী ৭-৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর তার বাড়ির সামনে আনা হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে তাকে ও ভাই জগদীশকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বুকে সট গান দিয়ে গুলি করার চেষ্টা করলে তারা সট গান ধরে ফেলেন। একপর্যায়ে তার দুই উরুতে ও ভাই জগদীশের ডান উরু গুলিবিদ্ধ হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাদের দুই ভাই ও দুই ঘের কর্মচারীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিজ্ঞাপন
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান ও অর্থোপেডিক্স সার্জন ডা. হাফিজুল্লাহ জানান, অলঙ্গ মন্ডলের দুই উরুতে ও জগদীশ মন্ডলের ডান উরুতে গুলি লেগে বিপরীত দিক থেকে বেরিয়ে গেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা আমলে নিয়ে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করা হবে। তাছাড়া গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রাথমিক তথ্য মতে ঘটনাটি ঘের ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটেছে বলে জানা গেছে। মামলা আমলে নিয়ে আইনগতভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সোহাগ হোসেন/আরকে