বাগানভর্তি সবুজ-হলুদ বলসুন্দরী বরই
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় আপেল বরই কিংবা কুল চাষে সফল হয়েছেন শহীদ বেপারী। প্রথমবারেই সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি। প্রতিদিন বিক্রি করছেন নিজ বাগানের বরই। কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়া উৎপাদিত এ বরইয়ের বেশ চাহিদা আছে।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের নয়াবাড়ির কৃষক শহীদ বেপারীর ২২ শতক জায়গায় গড়ে তোলা বরই বাগান পুরোটা নেট দিয়ে ঘেরা। ভেতরে প্রবেশ করে গাছে ঝুলতে দেখা যায় সবুজ-হলুদ ও লালচে থাই-বলসুন্দরী বরই। বিক্রির জন্য শহীদ বেপারীসহ কয়েকজন গাছ থেকে বরই তুলে ব্যাগে রাখছেন। আকারে বড় ও স্বাদে সুমিষ্ট হওয়ায় বাগানেই বিক্রি হয়ে যায় সব বরই।
স্থানীয় শরীফ, আজিজ, সুমনসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আমাদের গ্রামের শহীদ ভাই কুল বাগান করে সফলতা পেয়েছে। আমরা গ্রামের যারা বেকার যুবক আছি তারা শহীদের সফলতা দেখে নিজেরা উৎসাহিত হয়েছি। এখন আমরা শহীদের কাছ থেকে কুল চাষের পরামর্শ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছি।
কৃষক শহীদ বেপারী বলেন, অনেক বছর ধরে কৃষিকাজ করছি। বাড়ির পাশে প্রথমে ২২ শতক জায়গায় বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই গাছ লাগাই। সাতক্ষীরা থেকে চারা সংগ্রহ করেছি। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার বরই বিক্রি করেছি। গাছে যে পরিমাণ বরই আছে, আশা করছি লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কম খরচ ও পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়ায় বরই চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের। বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই অনেক সুস্বাদু। শহীদ বেপারী এ জাতের বরই চাষ করে প্রথম বছরই সফল হয়েছেন। বরই চাষে কোনো কৃষক আগ্রহ হলে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
আনোয়ারুল হক/পিএইচ