ঠাকুরগাঁওয়ে কম্বল পাঠালেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক
গত সপ্তাহেও ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এখন কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। এবারের শীতে এ অঞ্চলের অসহায় মানুষ ব্যাপকভাবে কাহিল হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে দিনমজুর শ্রেণির মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে।
বিভিন্ন সময় ঠাকুরগাঁওয়ের শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন সংগঠন শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসে। একইভাবে এগিয়ে এসেছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদও। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের শীর্তাত মানুষের জন্য কম্বল পাঠিয়েছেন রাজশাহী থেকে।
বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার গিলাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অর্ধশতাধিক দিনমজুর ও অসহায় বিধবাদের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
কম্বল পেয়ে গিলাবাড়ি এলাকার দিনমজুর মনসুর আলী ও হাফিজুল জানান, এবারের ঠান্ডায় তাদের খুব কষ্ট হয়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে তারা বেশির ভাগ দিন কাজে যেতে পারেননি। এ কারণে পরিবার নিয়ে তাদের খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হয়েছে।
তারা আরও জানান, অন্যান্য বার এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ হলেও এবার হয়নি। পুরানা শীতবস্ত্র দিয়ে তাদের শীত মোকাবিলা করতে হয়েছে। এবারের শীতে তারা প্রথম শীতবস্ত্র পেলেন বলেন জানান।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে গিলাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান-ই- হাবিব বলেন, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মহোদয় এক সময় ঠাকুরগাঁওয়ে চাকরি করেছেন। তিনি দূরে থেকেও আমাদের এলাকার শীতার্ত ও অসহায় মানুষের জন্য ভেবেছেন। উনার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও। শীতকালে এসব এলাকায় দেশের অন্যসব অঞ্চলের চেয়ে বেশি শীত পড়েছে। এক সময় ঠাকুরগাঁওয়ে চাকরি করেছি। তখন শীতের সঙ্গে লড়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারি শীতে এই এলাকার অসহায় মানুষকে কতটা কষ্ট করতে হয়। এজন্য কিছু শীতবস্ত্র পাঠিয়েছি ঠাকুরগাঁওয়ে। যেন কিছু মানুষের কষ্ট লাঘব হয়।
এমএএস