খুলে দেওয়া হয়েছে ঘুমধুম সীমান্তের ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বান্দরবানের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও মিয়ানমার জান্তা সরকারের মাঝে গত কয়েকদিনের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনায় নিরাপত্তা বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকার ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা এবং একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
তবে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি জানান, সকাল থেকে এখানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্তের উত্তেজনা কিছুটা কমার কারণে সাময়িক বন্ধ হওয়া ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এবং সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা খুলে দেওয়ার কথা জনিয়েছেন বান্দবান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি আজকে স্বাভাবিক হওয়ায় শিক্ষা কর্যক্রম চলছে তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলির ঘটনা এখনো পর্যন্ত ঘটেনি। তাই গতকাল বন্ধ হওয়া ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। এ অবস্থায় মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
তিনি গত (২৮ জানুয়ারি) বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধীনে উখিয়ার পালংখালী বিওপি এবং নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি, ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনে হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে এ নির্দেশনা দেন।
আরকে