বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গরপোতা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক রবিউল ইসলাম টুকলুর (৩৪) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারত।
গতকাল রোববার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ভারত-বাংলাদেশ পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে নিহত রবিউল ইসলাম টুকলুর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তের প্রধান পিলার ডিএমপি ৭ এর উপ-পিলার ৩১ হতে ৫০ গজ অভ্যন্তরে ভারতের তিনবিঘা করিডোর দিয়ে রবিউলের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় নিহতের বড় ভাই আমিনুর রহমান, বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান, পাটগ্রাম থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জয়ন্ত কুমার সাহা, বিএসএফের অর্জুন কোম্পানি সদরের কমান্ডার গোপাল কৃষ্ণ পান্ডে, তিনবিঘা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার শমসের সিং, কুচলিবাড়ি থানা পুলিশের ওসি অজয় রায় এবং দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে ভারতের মেখলিগঞ্জ থানার ফুলকাডাবরী ও আমলাটারী এলাকা এবং বাংলাদেশের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের আঙ্গরপোতা এলাকার ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল সীমান্তে যায়। সীমান্তের ডিএমপি ১ নম্বর প্রধান পিলারের ১ নম্বর উপ-পিলারের নিকট দিয়ে প্রসাধনী সামগ্রী ও চিনি পারাপার করার সময় ভারতের ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অর্জুন কোম্পানি সদরের উমর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের দেখে প্রথমে ককটেল ছোড়ে। পরবর্তীতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে রবিউলের বুকের বাম দিকের পাঁজর দিয়ে ঢুকে বের হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সীমান্তের ডিএমপি ১ নম্বর প্রধান পিলারের ৭ নম্বর উপ-পিলারের নিকটে আঙ্গরপোতা শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়।
বিজিবি জানায়, গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না বলে জানায় তারা।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমজেইউ