মায়ের জিম্মায় সেই নবজাতক, হাসপাতাল সিলগালা

রংপুরে বিল দিতে ব্যর্থ হওয়ার অজুহাতে ৪০ হাজার টাকায় নবজাতক বিক্রির ঘটনায় হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সিলগালা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে দুপুরে ওই নবজাতকের মা লাবনী আক্তার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এ জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে কীভাবে তার সন্তানকে বিক্রি করা হয়েছে তার বর্ণনা দেন। আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম সব শোনার পর নবজাতককে লাবনী আক্তারের জিম্মায় দেন। আদালত থেকে মা নবজাতককে নিয়ে নগরীর পাঠানপাড়ার ভাড়া বাসায় উঠেছেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী বলেন, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স ছিল না। অবৈধভাবে হাসপাতালটি চলছিল। সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা গিয়ে হাসপাতালটি বন্ধসহ সিলগালা করে দেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজনু মিয়া বলেন, আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন করায় বিচারক নবজাতকের মা ভুক্তভোগী মোছা. লাবনী আক্তার জবানবন্দি শুনে নবজাতককে তার জিম্মায় দেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রংপুর নগরীর বুড়ারঘাট এলাকার ওয়াসিম আকরামের স্ত্রী লাবনী প্রসব ব্যথা নিয়ে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই রাতে সিজারের মাধ্যমে তিনি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এর তিন দিন পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাবনী ও তার স্বামী ওয়াসিমকে বিল পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকে।
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে ওয়াসিম ও লাবনী দম্পতির অসচ্ছলতাকে পুঁজি করে হাসপাতালের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্বপরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী ও তার স্বামী রুবেল হোসেন রতনের কাছে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রি করে দেন। এতে সহযোগিতা করে লাবনীর স্বামী ওয়াসিম। এ ঘটনায় লাবনী আক্তার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ রোববার নগরীর পীরজাবাদ এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসকেডি