গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
সারা দেশের ন্যায় নোয়াখালীতেও জেঁকে বসেছে শীত। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সেই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শীতের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। বৃষ্টির ফলে দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু অবস্থা সবার। রাত গড়িয়ে সকাল হলেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পথঘাট। দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলোকে পথ চলতে হয় হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শীতে শ্রমজীবী আর হতদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ চরমে। হাড়কাঁপানো শীত আর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন শ্রমজীবীরা। কাজ না থাকায় চরম দুর্ভোগে এসব মানুষ।
চৌমুহনী রেলস্টেশনে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিক মিলন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, রামগতি থেকে কাজের সন্ধানে এখানে সাতজন আমরা আসছি। গত চারদিন কোনো কাজ পাইনি। বাড়ি থেকে ঋণ করে টাকা এনে কোনো রকম খেয়ে বেঁচে আছি। অনেক জেলা থেকে এখানে শ্রমিক আসে কিন্তু কাজ নাই বললেই চলে।
নোয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা গোলাম হায়দার চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিনের বেলায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মধ্যরাত থেকেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সূর্যের দেখা গত বেশ কিছুদিন নাই বললেই চলে। যারা ভাসমান মানুষ আছেন বা ফুটপাতে থাকেন তারা খুব কষ্টে আছেন।
রিকশা চালক আলী হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়াশা ও শীতের তীব্রতার কারণে সকালে গাড়ি নিয়ে বের হতে কষ্ট হয়। হাত-পা ঠান্ডায় জমে যায়। পেটের দায়ে বের হলেও যাত্রী নেই। আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আয় না করলে ভাত জুটবে না তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামি।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীতে আজ সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ বৃষ্টিপাত স্থায়ী থাকবে না।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতে যেন কোনো অসহায় মানুষ কষ্ট না পায় সেজন্য আমাদের সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ কম্বল বিতরণ করছেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমি মনে করি প্রতিটি সচ্ছল মানুষের উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
হাসিব আল আমিন/এএএ