আবারও খাদ্যমন্ত্রী হলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নতুন মন্ত্রিসভায় দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসন থেকে টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রীদের দপ্তর বন্টন করেন।
সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা
সাধন চন্দ্র মজুমদার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নওগাঁ-১ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তৃতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান সাধন চন্দ্র মজুমদার। আসনটিতে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ায় সেখানকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন তিনি। তার হস্তক্ষেপে পাল্টে গেছে নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার উপজেলার চিত্র। উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে সড়ক-মহাসড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সর্বক্ষেত্রে। দেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। যার প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফলেও। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
নওগাঁয় আওয়ামী লীগে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সাধন চন্দ্র মজুমদার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থেকেছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে তিনি হাজিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে নওগাঁর আওয়ামী লীগের সদস্য, দুইবার প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দীর্ঘদিন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪ সালের পর থেকে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নিজ নির্বাচনী এলাকার ৩টি উপজেলা ও ২০টি ইউনিয়নে স্থায়ী দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় তার উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের বহুতল ভবন এখন দৃশ্যমান।
একাত্তরে সাধন চন্দ্রের অংশগ্রহণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ শুনে ছাত্রাবস্থায় দেশ মাতৃকার জন্য যেকোনো ত্যাগ করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক আগে নওগাঁ মহকুমায় বিহারী ও বাঙালিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা শুরু হলে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঙ্গা নিরসনে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের আঁধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। শুরু হয় ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম গণহত্যা। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ২৬ মার্চের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, ডাক দেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারত গমন করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। পারিলা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৭নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্নেল কাজী নুরুজ্জামানের অধীনে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। আর এর মাধ্যমেই অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের মহিমান্বিত বিজয়। এ বিজয়ে ক্ষুদ্র অবদান আছে সাধন চন্দ্র মজুমদারের।
বিজ্ঞাপন
কৃষক বান্ধব সাধন চন্দ্র
নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুরের কৃষকদের উদ্বুদ্ধ ও সংগঠিত করে শিবপুর কৃষি সমবায় সমিতি গঠন করেছিলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ওই সমিতির মাধ্যমে শিবপুরে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করে কৃষিকাজ শুরু হয়। এক ফসলি জমি পরিণত হয় তিন ফসলি জমিতে। এ কাজের সফলতা দেখে ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে এ অঞ্চলে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএনডিএ) সেচ কার্যক্রম চালু করে। এতে ফলন বাড়লে এক সময় উৎপাদিত ধান বিক্রি এবং সংরক্ষণে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। ওই এলাকায় খাদ্য গুদাম না থাকায় সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারতেন না স্থানীয় চাষিরা। কৃষকের এ সংকট নিরসনে শিবপুরে খাদ্যগুদাম স্থাপনের জন্য সরকারি দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করতে থাকেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। এরপর শিবপুরে খাদ্যগুদামের অনুমোদন হলে দেখা দেয় নতুন জটিলতা। বাজেটে গুদাম স্থাপনের জমির জন্য বরাদ্দকৃত টাকা না রাখায় তা পিছিয়ে যেতে বসেছিল। তবে সেটি পিছিয়ে যেতে দেননি সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্যগুদাম স্থাপনের জন্য ওই এলাকায় নিজ পরিবারের ১ একর ৬২ শতাংশ জমি দান করেছিলেন তিনি। যার ফলস্বরূপ ওই এলাকার কৃষকরা এখন ধানের নায্যমূল্য পান। তবে ওই এলাকায় স্থানীয় কোনো ব্যাংক না থাকায় খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষকে কৃষকের ধানের দাম পরিশোধ নিয়েও জটিলতায় পড়তে হয়েছিল। সেই সমস্যা সমাধানে শিবপুর বাজারে তার নিজের দোতলা মাটির ঘরে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ছয় বছর কৃষি ব্যাংক তাদের কার্যক্রম সেই বাড়িতে পরিচালনা করেন। এসময়ে ব্যাংকের কাছ থেকে কোনো ভাড়া নেওয়া হয়নি, এমনকি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের খাবারের ব্যবস্থা হতো মজুমদার বাড়ির হেসেল থেকে। শিবপুরে কৃষি ব্যাংক স্থাপনের ফলে কৃষক ধানের মূল্য সঙ্গে সঙ্গে পেতে শুরু করে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সাধন চন্দ্র মজুমদার সংসদ সদস্য হওয়ার অনেক বছর আগে থেকেই কৃষকদের কথা ভাবতেন। তিনি মন্ত্রীত্ব পাওয়ার আগে কৃষকেরা ধানের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পেত না। অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল চাষাবাদ করে হতাশায় থাকতো। অনেকে চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে সাধন চন্দ্র খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ২০১৯ সালের পর কৃষকদের স্বর্ণযুগ শুরু হয়। এরপর থেকে আর চাষিদের লোকসানে পড়তে হয়নি। সরকারি গুদামে ধান ক্রয়ে নায্যমূল্য নির্ধারণ করায় বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা।
ব্যক্তিজীবনে সাধন চন্দ্র মজুমদার
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৫০ সালের ১৭ জুলাই নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত কামিনী কুমার মজুমদার ও মা মৃত সাবিএী বালা মজুমদার। নয় ভাই-বোনের মধ্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার অষ্টম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালে তিনি তার বাবাকে হারান। সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁ কৃষ্ণধন (কেডি) উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। এইচএসসি পাস করেছিলেন নোয়াখালীর চৌমুহনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে। সর্বশেষ বিএ পাস করেন নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে। সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৭৪ সালে চন্দনা রানী মজুমদারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার সহধর্মিনী চন্দনা রানী মজুমদার একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৯৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী মারা যান। পরে তিনি আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তিনি চার কন্যা সন্তানের জনক। বড় কন্যা সোমা রাণী মজুমদার পেশায় একজন ব্যাংকার, দ্বিতীয় যমজ কন্যার একজন কাবেরী রাণী মজুমদারও একজন ব্যাংকার, যমজ অন্য কন্যা কৃষ্ণা রাণী মজুমদার পেশায় চিকিৎসক এবং ছোট কন্যা তৃণা মজুমদার ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তৃণা মজুমদার নিজ এলাকায় কাজ করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিয়ে। প্রতিষ্ঠা করেছেন ত্রিশূল সমাজকল্যাণ সংস্থ্যা।
সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁ করনেশান হল সোসাইটি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য। এছাড়া তিনি নওগাঁ ব্লাড ব্যাংক, নওগাঁ ডায়েবেটিক সমিতি, নিয়ামতপুর ডিগ্রি কলেজ, পোরশা ডিগ্রি কলেজ, সাপাহার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি, নওগাঁ সমন্বয় নাট্যগোষ্ঠী এবং বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষ রাজশাহীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর সংসদীয় ককাশ গ্রুপের সদস্য ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বুধার (১০ জানুয়ারি) শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন। সংসদ নেতা হওয়ার পর ওই দিন বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন। এরপর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
আরকে