হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দিনাজপুর
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর হিমালয়ের কাছাকাছি জেলা হওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিম বাতাস দিনাজপুরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ ভাগ। এসময় বাসাতের গতি ছিল ০২ নটস। চলতি মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউবা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।
কৃষি শ্রমিক মোস্তফা ইসলাম বলেন, গত দুই-তিন দিন ধরে ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশা। ঘর থেকে বাইর হওয়া যায় না, আর ক্ষেতে গিয়ে কীভাবে কাজ করব।
আটোরিকশা চালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের জন্য রাস্তা ঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। এজন্য ভাড়া হচ্ছে না সকালে মানুষ দেরি করে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। আবার সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরছে। শীত এলে কষ্ট করে চলতে হয়, বাজারে তো সব কিছুর দাম বেশি, রোজগারও কম।
কৃষক মোতাহার বলেন, গত দুই দিন ধরে আলু তোলার জন্য শ্রমিক খুঁজে পাচ্ছি না। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে শ্রমিকরা কাজে আসছে না।
এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। বাতাসের গতি ০২ নটস।
সোহাগ/এসএম