‘নেত্রী যেটা চাইবেন সেটাই হবে’
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে জোট করে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল গঠনের বিষয়ে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত এ কে আজাদ বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ না। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইবেন আমি সেভাবে তার নির্দেশমতোই কাজ করব। ইতোমধ্যে আমাকে এই প্রশ্নটি দেশ-বিদেশ থেকে করা হচ্ছে। আজকে সকালেও প্রথম আলো ও বিবিসি থেকে এই প্রশ্ন করেছে। এখানে আমার উত্তর একটাই- নেত্রী যেটা চাইবেন সেটাই হবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী মহল্লায় অবস্থিত নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ স্বাধীন গণমাধ্যম। আপনাদের মাধ্যমে ফরিদপুর-৩ আসনের আমার প্রাণপ্রিয় প্রতিটি মানুষের প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা। যারা মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, তাদের কাছে চিরঋণী আমি। প্রচারণা শুরুর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ঈগলের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও জেলা পরিষেদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ভোলা মাস্টারের ওপর নির্মম হামলা চালানো হয়। শুরু থেকে হামলা, মিথ্যা মামলা, ভয় ভীতি উপেক্ষা করে মানুষ আমাকে সাহস ও সমর্থন দিয়ে গেছেন। হামলা, মামলার শিকার হয়েও কোনো প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাননি। ব্যালটের মাধ্যমে মানুষ হামলা, মামলা, বাধা বিপত্তির জবাব দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিপুল ভোটে জয়ের পরপর আমার নেতাকর্মীদের বলেছি, কারো প্রতি কোনো ধরনের প্রতিহিংসা নয়। সকলকে নিয়েই বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করুন। নির্বাচনের আগেও বারবার বলেছিলাম ফরিদপুর যেন সন্ত্রাসের রাজত্ব না হয়, চাঁদাবাজমুক্ত হয়। সেই অঙ্গীকার থেকেই বলছি, ফরিদপুরকে একটি মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাব।
এ কে আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শুরু থেকে একটি অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন। সারা বাংলাদেশের মতো ফরিদপুরও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীকে এমন নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ফরিদপুরে ৫২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। বাধা হামলা উপেক্ষা করে তারা কেন্দ্রে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, শামীম হক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমার ভাই। আমি এখনো তাকে অনুরোধ করছি সকল ভেদাভেদ ভুলে আসুন আমরা একসঙ্গে ফরিদপুরের উন্নয়নে কাজ করি। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ভোটে হেরে কাউকে দোষারোপ না করে আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি।
এক প্রশ্নের জবাবে এ কে আজাদ বলেন, ফরিদপুরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে রাজনীতিবিদ, প্রশাসন, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এ কে আজাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা নুসরাত রাসুল তানিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জহির হোসেন/আরএআর