রাঙামাটিতে ৩ আ. লীগ নেতাকে অপহরণ!
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় এবং নির্বাচনে ভোট প্রদান করার অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে কাউখালি উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের দুর্গম বড় আমছড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন, চাখিয়াই মং মারমা (৩৫), বাদো মারমা (৩৩) এবং চিংথোয়াই প্রু মারমা (৩৫)। সবাই কলমপতি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
কলমপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমাম উদ্দিন অহপরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এলাকাটি দুর্গম এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের সঙ্গে যোগযোগ করা গেলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই তিনজন নৌকার পক্ষে কাজ করছিল। কলমপতি ইউনিয়নের দুর্গম বড় আমছড়ি এলাকাটি আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ( ইউপিডিএফ) নিয়ন্ত্রণাধীন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন করে এলাকায় বার্তাও দিয়েছিল দলটি। যেহেতু তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রে ভোটার ভোট প্রদান করায় এবং এই তিনজন তাদের নির্দেশ না মানায় ইউপিডিএফ তাদের অপরণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ৭নং ওয়ার্ডের তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ৩ হাজার ৭৪৯ জন।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাজাই মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
কাউখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব চন্দ্র কর বলেন, অপহরণের বিষয়টি শুনেছি তবে কেউ কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি। স্থানীয়দের ধারণা ইউপিডিএফ অপহরণের এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি.
উল্লেখ্য, গত রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কাউখালী উপজেলার তিনটি ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এসব এলাকায় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে দেয়নি বলেও জানা গিয়েছিল। রোববার রাতে ইউপিডিএফ দেশের জনগণ এই ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়।
মিশু মল্লিক/আরকে