‘ভোটারদের রায় মাথা পেতে নেব’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। অভয়নগর, বাঘারপাড়া উপজেলা ও সদরের একাংশ বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটিতে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
নির্বাচনী এলাকার অভয়নগর উপজেলায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। নারী-পুরুষ ভোটার, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। দল বেধে ভোটাররা কেন্দ্রে আসছেন। ভোটকেন্দ্রের আশপাশ ঘিরে রীতিমতো উৎসব হচ্ছে।
শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোটারদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। কোথাও কোথাও ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ মিলছে। যশোর-৪ আসনে প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত যশোর-৪ আসনে দুপুর ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। সকাল ৯টার দিকে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড শরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন যশোর-৪ আসনে নৌকার মাঝি এনামুল হক বাবুল।
তিনি বলেন, ভোটের প্রচারের সময় যেভাবে মানুষের ভালোবাসা, দোয়া ও আশীর্বাদ পেয়েছি, তাতে আমি শতভাগ আশাবাদী এই আসনে নৌকা জয়ী হবে। বাবুল বলেন, অত্যন্ত সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটারদের রায় মাথা পেতে নেব।
যশোর-৪ আসনে নৌকার এনামুল হক বাবুল ছাড়া আরও পাঁচ প্রার্থী নির্বাচনে রয়েছেন। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রণজিৎ কুমার রায় (ঈগল), জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) জহুরুল হক, বিএনএমের সুকৃতি কুমার মণ্ডল (নোঙর), তৃণমূল বিএনপির এম সাব্বির আহমেদ (সোনালী আঁশ) এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ইউনুছ আলী (মিনার)। প্রার্থীদের মধ্যে রণজিৎ কুমার রায় ও সুকৃতি মণ্ডল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় তাদের নামে ব্যালট ছাপা হয়েছে। এই আসনে এনামুল হক বাবুলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল হকের।
এ আসনে মোট ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৮ ভোটারের মধ্যে এবার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৮৪৭ জন। সব মিলে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৮ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৬ জন। অভয়নগরে তিন ও বাঘারপাড়ায় একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
এমএএস