স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটুর ৪০ এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটু অভিযোগ করে বলেছেন, আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ ৪০ জন এজেন্টের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি প্রর্দশন করছে থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। চান্দিনায় সুষ্ঠু ভোটের কোনো পরিবেশ নেই। প্রচার প্রচারণা শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত ৪০টির মতো হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ৭৫ জনের মতো নেতাকর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছে। তারা সবাই বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ভর্তি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে চান্দিনায় নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের কথা বলেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটু আরও বলেন, জেলার বাকি ১০টি আসনে বেশ সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু চান্দিনার পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর এই আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের নেতাকর্মীরা আমার সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কমিশনে বার বার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তারা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে উল্টো আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে থানায় দুটি মামলা করা হয়। এ দুটি মামলায় আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট কাজী ইয়াছিন আহম্মেদ অভিসহ ৪০ এজেন্টকে আসামি করা হয়। মামলায় আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার নির্বাচনী কার্যালয়সহ আমার সমর্থিত বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাদের এলাকা ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আজ বাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রায়হানকে মারধর করে তার ৭টি ছাগল নিয়ে গেছে নৌকার নেতাকর্মীরা।
এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রায় ৩০টি জমা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ডাক্তার প্রাণ গোপাল চাচা তার পরাজয়ের ভয়ে এলাকায় হামলা মামলা সৃষ্টি করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে পুনরায় জয় লাভের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। কে এজেন্ট আমরা তো আর তাদের চিনি না।
আরিফ আজগর/এমএএস