৭ তারিখ হবে ফরিদপুরবাসীর বিজয়ের দিন : এ কে আজাদ
‘আগামী ৭ জানুয়ারি আমার আপনার জন্য অগ্নিপরীক্ষার দিন। ওই দিন আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফরিদপুর সন্ত্রাসের শহর হবে নাকি শান্তির জনপদ হবে।’
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এ কে আজাদ (ঈগল) তার নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।
এ কে আজাদ বলেন, ফরিদপুর সন্ত্রাসীদের বা চাঁদাবাজদের শহর, নাকি সন্ত্রাস চাঁদাবাজি নির্মূল হয়ে শান্তির ফরিদপুর হবে, যে শহরে সকল শ্রেণির লোক বসবাস করতে পারবে, সেটা আপনাদের ভোটেই প্রমাণ হবে। ঈগলের পক্ষে ভোট দিলে এ শহর শান্তির জনপদ হবে।
তিনি বলেন, আমি জীবনে এত বড় জনসভায় আগে কখনো বক্তব্য দেইনি। আগামী ৭ তারিখ হবে ফরিদপুরবাসীর বিজয়ের দিন, মুক্তির দিন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হককে ‘ভাই’ সম্বোধন করে এ কে আজাদ বলেন, আমার ভাইয়ের ডানে সন্ত্রাসী, বাঁয়ে সন্ত্রাসী। তিনি এই সব সন্ত্রাসীদের নিয়ে চলেন। মর্যাদাশীল লোকদের কমিটি থেকে বের করে দিয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আওয়ামী লীগের কমিটি করেন।
নির্বাচিত হলে কি কি উন্নয়ন করবেন তার বিবরণ দিয়ে এ কে আজাদ জানান, বেকারত্ব নিরসনে তার ও তার ভাইয়ের কারখানায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার লোক নিয়োগ বাড়িয়ে দেবেন। প্রতি ইউনিয়ন ও মহল্লায় ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলবেন যাতে বিনামূল্যে সকলে টেনিং নিতে পারেন এবং সেখান থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে ঢাকায় কাজের সুযোগ পান সেটারও ব্যবস্থা করবেন। শিক্ষার মান উন্নত করাসহ ফরিদপুরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, আরেকটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন, নাসিং ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করবেন। ফরিদপুরকে বিভাগ করা ও ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরশনে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেবেন, ফরিদপুরের তালমায় একটি শিল্প কারখানা করে ফরিদপুরে শিল্প নগরী এবং শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হবে। এছাড়া ভোলা থেকে গ্যাস আনার উদ্যোগ নেবেন। সর্বপরি সকলকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূলে কর্যকর পদক্ষেপ নেবেন।
জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ বলেন, ভোট দেবেন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে গুজব ছড়ানো হচ্ছে-‘ভোট যাকে দাও জিতবো আমরা।’ এ গুজবে কান দেবেন না। ভোট ডাকাতি করার কোনো সুযোগ নেই। কেন্দ্র পাহাড়া দেবেন। কেউ যদি ভোটে হাত দিতে যায়, ভোট কাটতে যায়, তাহলে সেখানেই যেন তার পরিসমাপ্তি হয়।
জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে নাসির কানাইপুরে একটি বাগানের অনেকগুলো গাছ কেটে নিয়েছিল। সেই নাসির এখন শামীম হকের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন। শামীম হকের ডানে, বামে, সামনে পেছনে সবখানে সন্ত্রাসী। শামীম হক সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এ কে আজাদের ভাই শারমিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন, এ কে আজাদের স্ত্রী শায়মা আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, পৌর আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাদিকুজ্জামান পাল, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ প্রমুখ।
জহির হোসেন/আরএআর