‘স্মার্ট বাংলাদেশের টার্নিং পয়েন্ট ৭ জানুয়ারি নির্বাচন’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা হয়েছে। তরুণদের নেতৃত্বে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের টার্নিং পয়েন্ট আগামী সাত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। বিদেশি বেনিয়া ও জাতীয় দালালদের নৌকায় ভোট দিয়ে উপযুক্ত জবাব দেবে দেশের জনগণ।
শনিবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিরল উপজেলার ৫নং বিরল ইউপির মোকলেসপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরা দেশের ষড়যন্ত্র করে আফগানিস্তান ইরাক সিরিয়া লিবিয়ার মত অবস্থা তৈরি করতে চায়। বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে তারা টার্গেট করেছে। যাদের বিরুদ্ধে দেশরত্ন শেখ হাসিনা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। সেজন্য তার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার এবং আত্মসম্মানের। এবারকার নির্বাচন শুধু নৌকার বিজয়ের নির্বাচন নয়। শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাতারে নিয়ে গেছে, তার মর্যাদা রক্ষা করার নির্বাচন। বাংলাদেশের মতো এমন একটি দেশে শেখ হাসিনার মতো শক্তিশালী নেতা অনেকেরই পছন্দ নয়। তারা বাংলাদেশকে পেছনে ঠেলে দিতে চায়। কিন্তু আজকে উন্নয়ন দৃশ্যমান, আমরা সব উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি। সেজন্য আমরা এখন বলছি আমাদের পরবর্তী কর্মসূচী কি? বাড়বে এবার কর্মসংস্থান। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার- উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমার তরুণ ভোটারেরা, আমার যুবকেরা, আমার ছাত্ররা তোমরা প্রস্তুত হয়ে যাও আগামী ৫ বছর হচ্ছে তোমাদের বছর। আগামী ৫ বছর হচ্ছে তোমাদের সময়, কারণ এদেশে কর্মসংস্থান বাড়বে, এদশে কোনো বেকার থাকবে না। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ কাজ করবে।
নির্বাচনী পথসভায় বিরল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলামের এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মেশারফ হোসেন, ৫নং বিরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন প্রমুখ।
ইমরান আলী সোহাগ/আরকে