অর্ধেক দামে ফ্রিজ বিক্রি করছেন ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ফ্রিজ প্রতীক) এমএ রাজ্জাক খানের মালিকানাধীন মিনিস্টার-মাইওয়ানের শোরুমে অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব ও ভূমি অধিগ্রহণ) শেখ মো. রাসেল অভিযান পরিচালনা করেন। তবে তিনি সেখানে আচরণবিধি ভঙ্গের প্রমাণ পাননি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ রাজ্জাক খান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য। তার মালিকানাধীন মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের মিনিস্টার ফ্রিজের ওপর চুয়াডাঙ্গাসহ দেশব্যাপী ৩৩-৫৩ শতাংশ ছাড় চলছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার এলাকার শোরুমে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শতশত নারী-পুরুষ ফ্রিজ কিনতে ভিড় করেছেন। ছাড়ের খবরে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ফ্রিজ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এরপরই ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান।
চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ আবুল কাশেম সড়কের মিনিস্টার শোরুম সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র ফ্রিজের ওপর অফার চলছে। প্রকারভেদে ৩৩, ৪০ ও ৫৩ শতাংশ ছাড়ে তিনটি অপশনে শীতের অফার দেওয়া হচ্ছে। শুধু চুয়াডাঙ্গায় না, দেশব্যাপী এ অফার চলমান রয়েছে। ফ্রিজ কিনতে শোরুমে শতশত নারী-পুরুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জ গ্রাম থেকে আসা এক নারী বলেন, লোকমুখে শুনে ফ্রিজ কিনতে এসেছি। এখানে প্রকারভেদে ৩৩ থেকে ৫৩ শতাংশ ছাড়ে ফ্রিজ বিক্রি করছে। তাই আমিও ফ্রিজ কিনতে এসেছি।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পারদুর্গাপুর গ্রামের দিনমজুর ইমাদুল হক বলেন, বিভিন্নজনের থেকে শুনেছি ফ্রিজের ওপর ৫৩ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। তাই কিনতে এসেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, দেশব্যাপী এ অফার চলছে। ডিসেম্বর মাসে আমাদের ক্লোজিং হওয়ায় দেশব্যাপী এ অফার চলে আসছে। আপনি দেশের অন্যান্য শোরুমেও খোঁজ নিন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট শেখ মো. রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি শোরুমে গিয়েছিলাম। এখানে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্ঘের কোনো ঘটনা ঘটেনি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি দেশব্যাপী অফার চলছে। এটা নির্বাচন-কেন্দ্রিক কোনো অফার না। বিষয়টি আমার সিনিয়রদের জানাব।
আফজালুল হক/আরএআর