নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না : আবু সাইয়িদ
পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না, বলতে গেলে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমি ১২টি সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনসহ সব দপ্তরে দিলেও একটির ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত একজন সন্ত্রাসীও গ্রেপ্তার হয়নি।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌকার লোকজন বিভিন্নভাবে তার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে ও হামলা চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, সরকারের ভেতরে থেকে একটি কুচক্রি মহল, সরকারের যে ইচ্ছা-প্রতিজ্ঞা নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা, সেটি বানচাল করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। এতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা পাবনায় প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তোতা পাখির মতো কোড অব কনডাক্ট, নির্বাচনী আচরণবিধি, সংবিধান এসব কথা বলে গেলেন। তিনি বলে গেলেন, কেউ যদি ধমক দেয় আপনাদের, তাহলে সাক্ষী লাগবে না। শুধুমাত্র থানায় বললেই সে অ্যারেস্ট হয়ে যাবে। কিন্তু তার কথার সাথে কাজের, বাস্তবের, মাঠের কোনোই মিল নেই।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, উনারা ওহি নাজিল করছেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের বান্দা যারা আছি আমরা, বিশেষ করে শয়তানরা আছে, তারা তাদের কথা কিছুই শুনছে না। তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেবে, তারও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি জনগণ দেখতে পারছে না।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই দাবি করে আবু সাইয়িদ বলেন, পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার এখনো সরকারি সব প্রটোকল নিয়ে চলছেন। কিন্তু আমার পাবনা আসতে কোনো প্রটোকল বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। কোনো পুলিশও নেই। কেন থাকে না।
এমন পরিস্থিতি থাকলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, আমরা সরে দাঁড়াবো কেন। সরে দাঁড়ানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং ওই যারা সন্ত্রাসী, গুন্ডামি করে, তাদেরকে সরাবো, এবং সরাতে গিয়ে যদি নয়-ছয় হয়ে যায়, হবে। নব্বই বছর বয়সে এখানে আসছি পালানোর জন্য না, হটে যাওয়ার জন্য না। ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা এসেছি। এজন্য আমরা আছি, থাকবো এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
সংবাদ সম্মেলনে বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল বাতেন, সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মিরাজুল ইসলাম, হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাচনী এজেন্ট মতিউর রহমান দুলাল, পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি এম এ কাফি সরকার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেপুটি স্পিকার ও তিনবারের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু। ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
রাকিব হাসনাত/আরএআর