ভোটের ৭ দিন আগে ওমরাহ পালনে গেলেন লাঙ্গলের প্রার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এ সপ্তাহ বাকি। সব প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় ‘ব্যস্ত’ সময় পার করছেন। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেল ফেনী-৩ (দাগনভূঞা ও সোনাগাজী) আসনে। এ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী সস্ত্রীক ওমরা পালনে সৌদি আরব গেছেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।
জানা গেছে, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ওমরা হজ পালন শেষে সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে দেশে ফিরবেন। পরদিন থেকে তিনি গণসংযোগসহ নির্বাচনী সব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন। এর আগে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) গণসংযোগ ও পথসভা শেষে ফেনী ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন
জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে আমরা সবাই জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করছি। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ভোট কেন্দ্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টিসহ যৌথ কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্র ভিত্তিক কেন্দ্র প্রধানরা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ, মিছিল, পথসভাসহ প্রচার প্রচারণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে লাঙ্গলের প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী না থাকাতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, প্রার্থীর ভাব খানা যেন এমন শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দিয়েছেন, তার মানে এখন তাকে জয়ী করা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও চূড়ান্ত ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন, স্বতন্ত্রের হাজী রহিম উল্যাহ (ঈগল), তৃণমূল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তবারক হোসেন (একতারা), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু নাসির (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির রিন্টু আনোয়ার (বাঁশি), আবুল কাশেম আজাদ (ট্রাক) এবং ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত (কাঁচি)।
আসনটিতে ১০ জন প্রার্থী থাকলেও লাঙ্গল সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্ল্যাহ। তিনি সৌদি জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য।
এর আগে আসনটিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল বাশারকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিলেও জোটের রাজনীতির কারণে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া হয়। দলীয় সিদ্ধান্তে আবুল বাশার গত ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আসনটিতে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৬ জন, নারী ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৬ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ জন।
তারেক চৌধুরী/এমএসএ