একটি জাল ভোট পড়লেও দায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের : ইসি আহসান হাবিব
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোট কেন্দ্রে যদি কেউ জোরাজুরি করে পুলিশ ডেকে নিবৃত্ত করবেন। তারপরও ঠেকাতে না পারলে কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যাবেন। পরে ভোট নেওয়া হবে। কিন্তু কোনোভাবে জাল ভোট দিতে দেওয়া যাবে না। একটিও জাল ভোট পড়লে তার জন্য পোলিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার দায়ী থাকবেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) যশোরের মনিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমরা চাই সুষ্ঠু, সুন্দর ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমাদের দেশের উপর বিদেশিদের নজর আছে। বাইরের কেউ আমাদের সমস্যা ঠিক কর দিতে পারবে না। ফলে আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। ভোটারদের তার পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। সত্য মিথ্যা উভয়ই অভিযোগ তদন্ত করা হবে। মিথ্যা অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ইসি আহসান হাবিব বলেন, পথভ্রষ্ট, অতিউৎসাহী, সন্ত্রাসীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। কোনো প্রকার অনিয়ম হলে চাকরি হারাতে হবে। কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হলে ভোট বন্ধ করে চলে যান, লাগলে পরে ভোট নেওয়া হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মণিরামপুর উপজেলার ২ হাজার ৭০০ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ পাবেন।
এ্যান্টনি দাস অপু/এএএ