প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করুন, কোনো সমর্থককে মারবেন না : হিরো আলম
আশরাফুল আলম হোসেন ওরফে হিরো আলম বলেছেন, প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করুন, আমার কোনো সমর্থককে মারধর করবেন না।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে হিরো আলম বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন। ওইদিন সন্ধ্যায় কাহালু বাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় হিরো আলম বাধার সম্মুখীন হন। সেখানে রবি নামে তার এক কর্মীকে মারধর করা হয়।
হিরো আলম এবারের নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী। তিনি এবার দলটির ডাব প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, পাঁচপীর এলাকায় প্রচারণা শেষে ১০-১৫ কর্মী-সমর্থকসহ আমি কাহালু বাজারে আসি। এই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মৎস্য ব্যবসায়ী রমজান আমাদের প্রাচরণা চালাতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতিলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে আমার ওপর প্রথমে হামলা চালায়। এই সময় আমাকে বেধড়ক মারধর করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়।
হিরো আলম বলেন, শনিবার নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, এরপরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাকে এত ভয় কেন? তারা বুঝতে পেরেছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বারবার তানসেনের পক্ষ নিয়ে আমার ওপর হামলা চালাচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হামলার সময় বিএনপির সাবেক এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লার দুজন সমর্থকও ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানি না। এই সব হামলা করে লাভ হবে না বলে দাবি করেন হিরো আলম।
হিরো আলম আরও বলেন, প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন, তবে আমার কোনো সমর্থককে মারধর করবেন না। ভোটের শেষদিন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। হিরো আলমকে হত্যা না করা পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরানো যাবে না।
কাহালু বাজারের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান হিরো আলম। পাশাপাশি দুদিনের হামলার ঘটনা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে চেয়েছেন তিনি।
কাহালু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, হামলার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রার্থী আশরাফুল এখনও লিখিত অভিযোগ করেননি। তবুও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ আনেন হিরো আলম।
আসাফ উদ দৌলা নিওন/আরকে