তাজুল ইসলামের সামনে নেই শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার নিজ গ্রাম পোমগাঁওয়ে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে ওই গ্রামের জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা ও উঠান বৈঠক করেন।
এবারের নির্বাচনে এ আসন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিএনপি নির্বাচনে না আসা এবং নিজ দলের কোনো বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় তিনি যে ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ছাড়াও তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাতীয় পার্টির গোলাম মোস্তফা কামাল, জাকের পার্টির অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মো. হাসান মিয়া, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু বকর সিদ্দিক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মনিরুল আনোয়ার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জমির উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোয়াজ্জেম হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক পথসভা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তিনি কুমিল্লা-৯ (লাকসাম- মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয় পেয়ে সংসদ সদস্য হন তিনি। ২০১৮ সালের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তাজুল ইসলাম। নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন তিনি। তাই এ নির্বাচনেও জনগণ বিপুল ভোটে তাকে জয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।
লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা এলাকায় যেসব অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে তা মন্ত্রীর হাত ধরেই। দুটি উপজেলাকে তিনি উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে গেছেন। পাশাপাশি শিক্ষার বিস্তারে তার অবদান অনেক। তিনি নিজ এলাকায় অসংখ্য স্কুল-কলেজ তৈরি করেছেন। তার বাবার নামে একটি কারিগরি স্কুল তৈরি করেছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি এমপি হবেন। জনগণ তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে।
আরিফ আজগর/এনএফ