র্যাবের অভিযানে আরসার চারজন আটক, বিস্ফোরক-অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার চেষ্টাকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় আরসার অর্থ জিম্মাদার মোহাম্মদ ইউনুছসহ চারজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া একটি বিদেশিসহ পাঁচটি অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বেশকিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- আরসার অর্থ জিম্মাদার মোহাম্মদ ইউনুছ (৩৭), মুফিজুর রহমান (৩৮), এনায়েত উল্লাহ (২৬) ও মোহাম্মদ জোবায়ের (২৭)।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে জামতলীর একটি ক্যাম্পে আরসার একটি গ্রুপ নাশকতার উদ্দেশ্যে বৈঠক করছে। পরে র্যাব দ্রুত আস্তানাটি ঘিরে ফেলে। এ সময় আরসার সন্ত্রাসীরা র্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়ে। আস্তানাটি দুর্গম এবং পাহাড়ের কিনারায় হওয়ায় অনেকে পালিয়ে যায়। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই আস্তানায় আরসার সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বৈঠক করে আসছিল। মূলত নির্বাচন চলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত থাকায় এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে তারা ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এর মধ্যে আরসার ৫৩ জন সদস্য পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে গেছে। আরসার আর্থিক সহযোগিতার বেশির ভাগ টাকা বিদেশে থেকে আসত।
এসব বিস্ফোরক কোথা থেকে সংগ্রহ করা হত এ বিষয়ে জানতে চাইলে এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে তারা এসব জোগাড় করতো।
সাইদুল ফরহাদ/এমজেইউ