নৌকা পাননি ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা, করবেন না নির্বাচন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনে চারজন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ চার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জমজমাট। ১৪ দলীয় জোট থেকে নৌকা প্রতীক না দেওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। যদিও এই আসনে ভোটের মাঠে খুবই দুর্বল ওয়ার্কার্স পার্টি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ভোট করছি না।
এছাড়া নির্বাচন নিয়ে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিরসহ ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ফিরোজ আহমেদ স্বপনের নৌকা, সৈয়দ দীদার বখতের লাঙ্গল ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহর হাতুড়ি প্রতীক।
সাতক্ষীরা-১ আসনটি তালা ও কলারোয়া উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মুজিবকে পরাজিত করেন ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। ২০১৮ সালেও তিনি নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। তবে এবার শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহারের আদেশ না আসায় নৌকা প্রতীক পেয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। বিপুল নেতা-কর্মী নিয়ে ফিরোজ আহমেদ স্বপন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন প্রতীক বরাদ্দ নিতে। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
ফিরোজ আজমেদ স্বপন বলেন, আমার মনোনয়নপ্রাপ্তিতে তালা-কলারোয়ায় গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। আমার বিজয় নিশ্চিত। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কারণে লোকজন নৌকায় ভোট দেবে।
বিজয়ের বিষয়ে আশাবাদী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেই। তালা-কলারোয়ার অলিগলি আমি চিনি। জনগণ আমাকে ভোট দেবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান। তিনি নিজেকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন।
কেন্দ্রীয় সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব বলেন, যেহেতু স্বতন্ত্র ভোট আমি করেছি। তাই ভোটের মাঠের বর্তমান চিত্র হিসেবে আমি বিজয়ী হবো।
সাতক্ষীরা-১ আসনে জাতীয় পার্টির অবস্থান বেশ শক্তিশালী ছিল। বর্তমানে সেই অবস্থা না থাকলেও ব্যক্তি হিসেবে ভোটারদের মনে জায়গা রয়েছে এরশাদ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখতের।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, সৈয়দ দীদার বখত তালা ও কলারোয়ার উন্নয়নের রুপকার। তিনি সবার কল্যাণ করেছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি পাস করবেন।
সোহাগ হোসেন/আরএআর