হঠাৎ পেঁয়াজশূন্য ঠাকুরগাঁওয়ের আড়ৎ
সারাদেশে পেঁয়াজের বাজার যখন অস্থিতিশীল তখন ঠাকুরগাঁও কাঁচামাল আড়ৎ হঠাৎ পেঁয়াজশূন্য হয়ে পড়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) পুরো আড়ৎ জুড়ে কোথাও মিলছে না পেঁয়াজ।
পেঁয়াজ কিনতে আসা বিভিন্ন ক্রেতারা বলেন, হঠাৎ পেঁয়াজের ওপর এমন ভৌতিক ঘটনা কেন ঘটল জানি না। কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজের আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে আমরা পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছি, আর আজকে গোটা আড়তে কোনো পেঁয়াজই পাওয়া যাচ্ছে না।
ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁও গোবিন্দ নগর আড়তে আমি পেঁয়াজ কিনতে এসেছি কিন্তু এখন বাজার ঘুরে দেখতেছি কোনো পেঁয়াজ নেই। আমি বুঝতেছি না হঠাৎ করে আড়তের পেঁয়াজ কোথায় গেল।
রফিকুলের মতো পেয়াঁজ কিনতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, আমি অনেকক্ষণ ধরে পেয়াঁজ কেনার জন্য প্রত্যেকটি দোকানে ঘুরছি। কিন্তু কোনো দোকানেই পেঁয়াজ নেই। শুনতেছি কালকেও নাকি আড়তে পেয়াঁজ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আজকে বাজারের পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেছে।
ঠাকুরগাঁও আড়তের সব থেকে বড় ব্যবসায়ী জব্বার মিয়া বলেন, ঠাকুরগাঁও প্রশাসন আমাদেরকে ৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেছে এবং এই নির্দিষ্ট দামের বাইরে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারব না। কিন্তু আমরা যেখান থেকে পেঁয়াজ কিনেছি সেখান থেকেও আমাদেরকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। যার জন্য আমাদেরকে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এজন্য ঠাকুরগাঁও আড়তে আজকে আমরা কোনো পেঁয়াজ আনিনি। যার জন্য আজকে আড়তে পেঁয়াজ শূন্যতা দেখা দিয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে আসা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, আমাদের কুষ্টিয়াতে পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৯০ টাকা দরে। আর এখানে পেয়াঁজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করলে আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। আমরা এর আগে প্রতিদিন পেয়াঁজ নিয়ে আসতাম। আজকে পেয়াঁজ খুব অল্প পরিমাণ নিয়ে এসেছি, যেহেতু লোকসান গুণতে হচ্ছে। আজকে বাইরে থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে তেমন কোনো পেঁয়াজ আসেনি যার জন্য ঠাকুরগাঁও আড়তে হঠাৎ করে পেঁয়াজ শূন্য দেখা যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী বলেন, আজকের দিনটা যাক কালকে আমরা বিষয়টি দেখব।
এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানকে মোবাইলফোনে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আরিফ হাসান/আরকে