সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল অটোচালকের
দীর্ঘদিন ধরে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব চলে আসছিল আরিফ মাল ও অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমান হাবুর (২২) মধ্যে। তাদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু এই দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল হাবিবুর রহমান হাবুর।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন চরভাগা ইউনিয়নের দুলারচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত হাবিবুর রহমান হাবু সখিপুরের চরভাগা ইউনিয়নের মাঝি কান্দি গ্রামের মৃত কালা মিয়া মাদবরের ছেলে। এ ঘটনায় আটক হওয়া নাহিদ সরদার (২২) নড়িয়া উপজেলার ঘরিষার ইউনিয়নের চরমোহন গ্রামের জামাল সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আরিফ মালের সঙ্গে হাবিবুর রহমান হাবুর সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পারভেজ নামের একজন তাদের এই দ্বন্দ্ব মীমাংসা করে দিয়েছিল। কিন্ত আজ সকালে হাবিুবর রহমান হাবুর সঙ্গে ঘরিষার বাজারে আরিফ মালের তর্ক হয়। তর্কাতর্কির পর হাবিবুর রহমান হাবু তার অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে দুলার চরের উদ্দেশ্যে রওনা হলে আরিফ মাল ৭-৮ জন লোক নিয়ে অন্য একটি অটোরিকশাযোগে হাবিবুর রহমান হাবুকে ফলো করতে থাকেন। অটোরিকশাটি দুলার চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসার পর তার গতিরোধ করে আরিফ ও তার সঙ্গীরা মারধর শুরু করে। মারধরের একপর্যায়ে হাবিবুরের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর স্থানীয়রা হাবিবুর রহমানকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় নাহিদ নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাবিবুর রহমানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিষয়ে ওসি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা মামলা করেননি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাইফ রুদাদ/এমজেইউ