নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নিহত

পিরোজপুর সদর উপজেলার বটতলা এলাকায় নৌকার সমর্থকদের হামলায় আহত লালন ফকির (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিজ্ঞাপন
লালন ফকির পিরোজপুর পৌরসভার মধ্য ডুমুরিয়া মহল্লার আব্দুল হান্নান ফকিরের ছেলে। তিনি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের কর্মী ছিলেন।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার রানীপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের কর্মীরা। এ ঘটনার জের ধরে শ ম রেজাউল করিমের সমর্থক শুভ শেখের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের কর্মী লালন ফকিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ধারালো অস্ত্রের কোপে লালন ফকিরের ডান পা ও হাত এবং বুকে জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই রাতে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। লালন ফকিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি বলেন, নৌকার সমর্থক বাবু শেখের নেতৃত্বে লালন ফকিরকে কুপিয়ে জখম করে। সোমবার সন্ধ্যায় লালন ফকির ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মারা গেছেন। নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে কোনো ভাঙচুর করা হয়নি। তারা নিজেরা ভেঙে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর দোষ দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
শ ম রেজাউল করিমের সমর্থক বাবু শেখ বলেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের লোকজন আমাদের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছিল। আমার বিরুদ্ধে লালন ফকিরকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ মিথ্যা। তাকে কে বা কারা কুপিয়ে ছিলেন আমি জানি না।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান সোমবার রাত ৯টায় বলেন, লালন ফকির নামে একজনের ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে হত্যা মামলা নেওয়া হবে।
আরকে