নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে কৃষিমন্ত্রীর, স্ত্রীর নামে নেই সম্পদ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নামে কোনো নগদ টাকা না থাকলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নগদ টাকা রয়েছে ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৬০৩ টাকা। এছাড়া তার বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বেড়েছে তিনগুন। তবে তার স্ত্রীর নামে কোনো টাকা নেই বলে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও একাদশ নির্বাচনে হলফনামায় তার স্ত্রী শিরিন আক্তার বানু নামে ১ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছিল।
হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, দশম জাতীয় নির্বাচনে শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানতের ওপর আয় না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭২৬ টাকা আয় ছিল। তবে দ্বাদশ নির্বাচনে কয়েকগুন বেড়ে গেছে এই খাতের আয়। তিনি বাৎসরিক এই খাত থেকে আয় করেন ৭৯ হাজার ৩২৫ টাকা। ব্যাংকে আর্থিক পরিমাণও বেড়েছে তার। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাংকে ছিল ৩ লাখ টাকা। সেখানে একাদশ নির্বাচনে পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ২০ টাকা। এরপর দ্বাদশে এসে এর পরিমাণ আরও বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৬ টাকা। তবে একাদশ নির্বাচনে কৃষিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র, এফডিআর থাকলেও দ্বাদশ নির্বাচনী হলফনামায় নেই। তবে কৃষিমন্ত্রীর সোনার পরিমাণ বেড়েনি। একাদশ নির্বাচনে স্ত্রীর নামে ৫ তোলা স্বর্ণ থাকলেও দ্বাদশ নির্বাচনে নেই।
কৃষিমন্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির হিসেবে মিরপুরে ৩ নম্বর সেক্টরে ৫তলার আবাসিক ভবনের ১/৪ অংশের মালিকানা, ঢাকার লালমাটিয়ায় ফ্ল্যাট রয়েছে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তবে একাদশ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মিরপুরের সেনপাড়ার চারটি ফ্ল্যাট ও লালমাটিয়ার ২১৫২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এবং তার স্ত্রীর নামে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৩ কাঠা, দক্ষিণ গোড়ানে ০.৮৯ শতাংশ এবং সাভারে ৫ কাঠা জমি, গোড়ান ঢাকায় বি-৩, এ-৭ ও সি-৯ তে ১১০০ বর্গফুটের দুইটি ফ্ল্যাট ও ১২০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, সেখানে তিনটি কার পার্কিংয়ের জায়গা, ঝিলমিল প্রকল্পে রাজউককে অগ্রিম ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৯০ টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। যা দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।
একাদশ নির্বাচনের হলফনামায় চাকরির কলামে কোনো আয়ের কথা উল্লেখ করেনি। তবে অন্যান্য কলামে সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানি ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার, সংসদ সদস্য হিসেবে অন্যান্য করমুক্ত আয় ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৫ টাকা এবং মৎস্য চাষ হতে আয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ৩২০ টাকার কথা উল্লেখ থাকলেও দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় অন্যান্যের ঘরে কিছুই উল্লেখ করেনি। তবে চাকরীর কলামে করযোগ্য আয় এবং কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয় ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৬ টাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া কৃষিমন্ত্রী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় পেশা অবসরপ্রাপ্ত চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার উল্লেখ করলেও দ্বাদশ ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনীতি হিসেবে পেশায় উল্লেখ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই।
অভিজিৎ ঘোষ/এমএ