জয়পুরহাটে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট জেলার দুইটি সংসদীয় আসনে ১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ভোটারদের স্বাক্ষর সঠিক না থাকা, প্রস্তাবককারী ও সমর্থনকারী উপস্থিত না থাকায় ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া তিনজন হলেন- জয়পুরহাট-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রানী রাবেয়া আসরী ও আলেয়া বেগম। আর জয়পুরহাট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতোয়ার রহমান মন্ডল।
মনোনয়ন বৈধ থাকা প্রার্থীরা হলেন- জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সামছুল আলম দুদু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. রুকুনুজ্জামান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) আবু খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন, জাতীয় পার্টির এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, তৃণমূল বিএনপির মো. মাসুম, স্বতন্ত্র থেকে এ কে এম রায়হান মন্ডল মনু, আব্দুল আজিজ মোল্লা, মো. জহুরুল ইসলাম। এর মধ্যে আব্দুল আজিজ মোল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র। আর মো. জহুরুল ইসলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। তাই মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
জয়পুরহাট-২ (কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আবু সাঈদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন, জাকের পার্টির মো. গোলাম রসুল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. নয়ন, জাতীয় পার্টির আবু সাঈদ নুরুল্লাহ, স্বতন্ত্র থেকে আব্দুর রাজ্জাক সরদার ও গোলাম মাহফুজ চৌধুরী ওরফে অবসর। এর মধ্যে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী ওরফে অবসর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। তিনি এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী জানান, রোববার জয়পুরহাটের দুইটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এই দুইটি আসনে ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ফলে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চম্পক কুমার/এমজেইউ