বন্ধুর কাছে ঋণী শামীম ওসমানের বাৎসরিক আয় ৭৮ লাখ টাকা!

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী ও সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ, এলএলবি। তার নামে এযাবৎকালে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১৭টি।
এর মধ্যে ৩টি মামলায় বেকসুর খালাস, খালাস ৪টি, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে প্রত্যাহার হয়েছে ৪টি, বাতিল হয়েছে ১টি, হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত হয়েছে ৩টি ও অপর দুইটি মামলায় তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা যায়৷
হলফনামায় নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করা এই সংসদ সদস্যের ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিজের বাড়ি, দোকান ও অন্যান্য খাত থেকে তিনি বাৎসরিক আয় করেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫২ টাকা। গতবারের হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে আয় দেখান ২২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। শেয়ারের সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক থেকে জামানত সুদ থেকে তার বাৎসরিক আয় ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪১ টাকা, যা গতবারের চেয়ে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮৬৯ টাকা বেশি। জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি সারাবছর মিলিয়ে সম্মানী পান ২২ লাখ ২ হাজার টাকা।
তার স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি ব্যবসা থেকে বছরে আয় করেন ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫২ টাকা। এছাড়া শেয়ারের সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে জামানতের সুদ থেকে স্ত্রীর বাৎসরিক আয় ২৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮৭ টাকা, যা বিগত হলফনামায় ছিল ২২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আগের তিনটি ব্যবসা থেকে একটি বিয়োগ হয়ে বিগত পাঁচ বছরে আরও দুইটি নতুন ব্যবসা যোগ হয়েছে শামীম ওসমানের নামের পাশে।
পাঁচ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়ে দুইয়ে দাঁড়িয়েছে তার। যোগ হওয়া টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়িটির মূল্য দেখানো হয়েছে ৮১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। শামীম ওসমানের মোট ঋণের পরিমাণ দুই কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৭৬ টাকা। এর মধ্যে প্রবাসে থাকা বন্ধু অনুপ কুমার সাহার কাছে তার সুদবিহীন ঋণ রয়েছে ২৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামাতেও বন্ধুর কাছ থেকে নেওয়া এই ঋণের কথা উল্লেখ করেছিলেন শামীম ওসমান। পাঁচ বছরে তার ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ২৬ টাকা। তার সঙ্গে থাকা লাইসেন্সকৃত পিস্তলের মূল্য ৩৫ হাজার টাকা।
এমএএস