বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত ছিল : শওকত মাহমুদ
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শওকত মাহমুদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপি যে পরিবেশে নির্বাচনে এসেছিল, এবার তার চেয়ে বেশি অনুকূল পরিবেশ আছে। বিএনপির উচিত ছিল আসার।
শওকত মাহমুদ আরও বলেন, গোটা বিশ্ব বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব এবারের নির্বাচনকে এত জরুরিভাবে নিয়েছে যে মানবাধিকারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা স্যাংশন দিচ্ছে, ভিসানীতি দিচ্ছে এবং নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার জন্য তারা কাজ করছে। সেই জায়গায় বাংলাদেশের অতীতের কোনো নির্বাচনকে নিয়ে বিদেশিরা এত আগ্রহী ছিল না, তাদের উদ্বেগের কারণেই আমি মনে করি এই নির্বাচনে একটা প্রতিফলন হবে এবং সেটার সুযোগ নেওয়া উচিত। এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমি সর্বোচ্চ আশাবাদী।
তিনি বলেন, সরকার যেভাবে দমন পীড়ন করছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এভাবে বাংলাদেশের মেজর একটা বিরোধী দলকে আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠিয়ে দিয়ে নির্বাচন করতে পারে না, এটা তো সত্য কথা। আমি এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না। আমি মনে করি যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের একটা সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। বিএনপিরও নির্বাচনে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে চাওয়া উচিত ছিল। সারাবিশ্ব যে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে সে নির্বাচনে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির আরও প্রজ্ঞাবান নীতি দরকার ছিল।
শওকত মাহমুদ বলেন, আমি কুমিল্লা-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সরকারের অনাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনের সঙ্গে আমি সহমত এবং বিরোধী দলের ক্ষেত্রে কথা বলার জন্যই আমি স্বতন্ত্র হিসেবে সংসদে যেতে চাই।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলটির সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দলের নেতৃত্ব তাকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় শওকত মাহমুদকে।
আরিফ আজগর/আরএআর