কুড়িগ্রামের ৪ কলেজে পাস করেনি কেউ

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কুড়িগ্রামের ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি। এমন ফলাফলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মীর সাজ্জাদ আলীর স্বাক্ষরিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তালিকায় কুড়িগ্রামের ৪টি কলেজের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার এমন তথ্য পাওয়া যায়।
জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মইদাম কলেজে দুইজন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নিবিন্ধন করলেও একজন অনুপস্থিত ছিলেন। অপর পরীক্ষার্থী মোছা. খোদেজা খাতুন অংশ নিলেও তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের ৪ জনই অকৃতকার্য হন।
এছাড়া নাগেশ্বরী উপজেলার সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন এবং রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা মডেল কলেজে একজন শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা দুজনই অকৃতকার্য হন।
বিজ্ঞাপন
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মইদাম কলেজের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী খোদেজা খাতুনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, কলেজে তাদের মেয়ে একমাত্র শিক্ষার্থী হলেও ওই কলেজে ১২ শিক্ষকের কেউই ঠিকমত কলেজে আসতেন না। ফলে কলেজে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়।
বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক নুর আলম বলেন, ওই কলেজ থেকে শুধু আমার মেয়ে ফেল করেনি অন্যান্য সব পরীক্ষার্থীদের অবস্থা এমন। আমি মনে করি শিক্ষকদের পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা আরও সচেতন হওয়া উচিত।
সদ্য ঘোষিত এমপিওভুক্তিতে অন্তুর্ভুক্ত হওয়া মইদাম কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বাবলু জানান, অকৃতকার্য শিক্ষার্থী খোদেজা খাতুন শুরুতে কলেজে নিয়মিত ছিলেন। পরে পরিবার থেকে তার বিয়ে দেওয়ায় ধীরে ধীরে কলেজে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ফলে পড়াশোনা ভালো করতে পারেনি। এই কলেজে মোট শিক্ষক সংখ্যা ১২ জন।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, শতভাগ ফেল করা কলেজগুলোর ফলাফল যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুয়েল রানা/আরকে