আ. লীগের নেতার মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের আবেদন
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজগর হোসেন চঞ্চলের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর এ আবেদন করেন নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার।
সুমি আক্তারের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে নিজের কাজ করার জন্য বাড়ির বাইরে যান চঞ্চল। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চঞ্চলকে তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিলে তার সঙ্গে কিছু লোকের বাগবিতণ্ডা ও চেচামেচি শুনতে পান। এ সময় আপনার সঙ্গে কে বা কারা আছে জানতে চাইলে চঞ্চল জানান তার সঙ্গে বালিগাওঁ গ্রামের রিটু, হাবিবুর রহমান সোহেল, গহি নিতাই দাস ও উত্তম সরকার সানীসহ আরও কয়েকজন রয়েছে। পরে ওই দিন রাতেই ইসলামপুর রাস্তার পাশে মুমূর্ষু অবস্থায় চঞ্চলকে বালিগাওঁ বাজারের ব্যবসায়ী আমির হোসেন উদ্ধার করে বালিগাঁও ডক্টরস ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বললে চঞ্চলকে ঢাকাস্থ আসগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ সেপ্টেম্বরে তিনি মারা যায়। পরে অজ্ঞাত আসামীগণ সুমি আক্তারকে ভুল বুঝিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই চঞ্চলকে কৌশলে মাটি দিতে বাধ্য করে। পরবর্তী সময়ে স্ত্রী সুমি আক্তার জানতে পারেন, তার স্বামীর বুকের ৯টি হাড় ভাঙা ছিল এবং পিঠের ৩ জায়গায় ভাঙা ছিল। জখমের বিষয়ে জানতে পেরে স্ত্রী সুমি মুন্সিগঞ্জ আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে সি.আর মামলা- ৪১৬/২৩, ধারা ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি দায়ের করে। সেখান থেকে মামলাটি খারিজ করে দিলে বর্তমানে মামলাটি দায়রা জজ আদালত মুন্সিগঞ্জে চলমান আছে।
এ বিষয়ে সুমি আক্তার বলেন, আমার প্রথমে দুই মেয়ে রয়েছে। যখন চঞ্চল মারা যায় তখন আমি তিন নম্বর সিজার হয়। সে সময় আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। আমি অসুস্থ থাকায় বুঝতে পারিনি যে আমার স্বামীকে কেউ মেরে ফেলেছে। যারা আমার স্বামীরে মারছে তারা দ্রুত কৌশলে তার দাফনের কাজ সেরে ফেলে। পরে জানতে পারলাম ওরা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে মেরে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে। বালিগাওঁ গ্রামের মোফাজ্জল কমান্ডারের ছেলে রিটু, যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান সোহেল, নিতাই দাস, উত্তম সরকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে পরিকল্পিতভাবে মেরে আমার স্বামীকে রাস্তার নির্জন স্থানে ফেলে রেখে গেছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান ঢাকা পোস্টকে বলেন , যখন ওই আওয়ামী লীগ নেতা মারা যায় তখন নিহতের পরিবার আমাদের কাছে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন কিংবা কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
ব.ম শামীম/আরকে