বাবা, ভাই-বোন ও মেয়েকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ আবু সাঈদ

প্রায় এক বছর ধরে বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত। সপ্তাহে দু’দিন ক্যামো দেওয়ার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সে কারণে অটোরিকশা ভাড়া করে বাবা, বোন ও মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ভাই লাবু হোসেন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় পৌঁছালে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক।

এতে নিহত হন গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের চককান্তপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আবু সাঈদের বাবা ইউনুস আলী (৮০), ভাই লাবু হোসেন (৪০), বোন পারভিন খাতুন (৩৫) ও মেয়ে শারমিন খাতুন (১৬)। দুর্ঘটনায় পাশের মুকিমপুর গ্রামের মো. তোফাজ্জলের ছেলে অটোরিকশাচালক মোখলেসুর রহমানও (৪০) নিহত হন।

মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর স্বজনদের আহাজারিতে চককান্তপুর গ্রামের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। এ দুর্ঘটনায় বাবা, ভাই-বোন ও আদরের মেয়েকে হারানোর শোকে বাকরুদ্ধ আবু সাঈদ, স্তব্ধ পুরো গ্রাম।

আবু সাইদ বলেন, পিতার চিকিৎসার জন্য ভাই-বোনের সঙ্গে তার মেয়ে শারমিনকেও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তারা আর জীবিত ফিরলেন না। পরিবারের চার সদস্যকে হারিয়ে এখন আমরা নির্বিকার।

প্রতিবেশী খায়ের উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে মরদেহের অপেক্ষায় গ্রামের মানুষজন আবু সাইদের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে। এখন পর্যন্ত মরদেহ আসেনি। চককান্তপুর পশ্চিমপাড়া গোরস্থানে কবর খোঁড়া হয়েছে। তবে জানাজা কখন হবে তা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সিহাব উদ্দিন বলেন, চককান্তপুর পশ্চিমপাড়া গোরস্থানে তিনটি কবর খোঁড়া হয়েছে। সেখানে ইউনুস আলী, লাবু হোসেন, আবু সাইদের মেয়ে শারমিন খাতুনকে দাফন করা হবে। আর পারভিন খাতুনকে তার স্বামীর বাড়িতে ও অটোরিকশাচালক মোখলেসুরকে মুকিমপুরে দাফন করা হবে।

গোলাম রাব্বানী/এসএসএইচ